ঢাকা শিক্ষা বোর্ড

ঢাকা বোর্ড বিভিন্ন সনদ ও মার্কশীটে নাম ও বয়স সংশোধন আবেদনের নিয়মাবলি

সুপ্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছো সবাই? অনেক সময় জানতে বা অজান্তে আমাদের বিভিন্ন সনদে নিজের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ও বয়স সংক্রান্ত ভুলের কারণে নানাবিধ জটিলতায় পড়তে হয়। আজকে আমরা আলোচনা করবো ঢাকা বোর্ড বিভিন্ন সনদ ও মার্কশীটে নাম ও বয়স সংশোধন আবেদনের নিয়মাবলি নিয়ে।

এর আগে আমরা কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের বন্ধুদের জন্য কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড নাম ও বয়স সংশোধন ফরম এবং আবেদনের নিয়মাবলি জানিয়েছি। আজ তাই দেশের অন্যতম শিক্ষাবোর্ড ঢাকা এর অধীনে পাশ করার বিভিন্ন সালের জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কশীট সংশোধন করার বিষয়ে জানবো।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ড বর্তমানে শতভাগ অনলাইনে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি সার্টিফিকেট পদ্ধতি চালু করেছে। আবেদনকারীরা একসাথেই তিন পরীক্ষার সনদ সংশোধন আবেদন করতে পারেন।

একই আবেদনে জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার তথ্য সংশোধন করতে হবে (যাদের জন্য প্রযোজ্য)। একজনের জন্য একাধিক আবেদন করা যাবে না। তবে জন্ম তারিখ ও নাম সংশোধনের জন্য আলাদা আলাদা আবেদন করতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা এর জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি সনদ সংশোধনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

এখন আমরা জানবো আবেদনের ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সকল স্তরের সনদে নাম সংশোধনের জন্য একটি আবেদন এবং জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আরেকটি আবেদন জমা দিতে হবে।

জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে নাম সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা:

সনদ সংশোধনের আবেদনের সাথে যেসকল কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে-

  • ১. জন্ম সনদ (আবশ্যক);
  • ২. পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র (আবশ্যক);
  • ৩. পিতার যেকোন পরীক্ষার পাসের সনদ (যদি থাকে);
  • ৪. মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (আবশ্যক);
  • ৫. মাতার যেকোন পরীক্ষার পাসের সনদ (যদি থাকে);
  • ৬. সাম্প্রতিক তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
  • ৭. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নোটারী পাবলিক ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কপি;

উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো শুধুমাত্র অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড নাম ও বয়স সংশোধন অনলাইন আবেদন অপশন থেকে নির্ধারিত নিয়মে আবেদন সাবমিট করবেন।

বর্তমানে শুধু অনলাইনেই সনদ ও মার্কশীট সংশোধন করা যায় তবে তবে আপনি চাইলে বোর্ডে গিয়ে সরাসরি নাম সংশোধনের আবেদন করতে পারেন।

সনদে নাম ও বয়স সংশোধনের ফি এর পরিমাণ: ঢাকা শিক্ষাবোর্ড নাম সংশোধন বাবদ ২,০০০/- (দুই হাজার), এবং বয়স সংশোধন এর জন্য ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি সনদে আরও যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে-

ম্যানুয়াল আবেদনের সাথে যে সকল কাগজপত্র এ ফরমের সাথে দাখিল করতে হবে:

ক) নাম সংশােধন ফি বাবদ প্রতি পরীক্ষার জন্য ৫০০/- টাকা বাের্ডের ওয়েব সাইট থেকে সােনালী সেবা ফরম পূরণ করে প্রিন্ট আউট কপি। একই দিনে সােনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় জমা দিয়ে বাের্ডের অংশ আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

খ) ২০০টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে পিতা কর্তৃক ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট নােটারি পাবলিকের নিকট তার সন্তানের (সংশ্লিষ্ট
ছাত্র/ছাত্রীর পিতার/মাতার নাম সংশােধন সম্বন্ধে অ্যাফিডেভিট করতে হবে এবং ঐ অ্যাফিডেভিট এর মূল কপি জমা দিতে হবে ।

পিতা জীবিত না থাকলে মাতাকে অ্যাফিডেভিট করতে হবে। পিতা ও মাতা উভয়ই জীবিত না থাকলে আইনানুগ অভিভাবক অ্যাফিডেভিট করতে পারবে, তবে আইনানুগ অভিভাবকত্ব সর্ম্পকে জেলা জজের সার্টিফিকেটও জমা দিতে হবে।

শুধুমাত্র নিজের নাম সংশােধনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স যদি ১৮বছর অথবা তার বেশী হয় তাহলে নিজেই অ্যাফিডেভিট করতে পারবে। অ্যাফিডেভিটে রেজি, নং, পাসের সাল, রোল নম্বর, বাের্ডের নাম এবং সংশােধনের বিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।

গ) হলফকারী কর্তৃক প্রার্থীর নাম, পিতার নাম ও মাতার নাম সংশােধনের জন্য বাংলাদেশের যেকোন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির (পত্রিকার নাম ও তারিখ উল্লেখ করে) মূল ‘কাটিং জমা দিতে হবে। পত্রিকার নাম:……………… তারিখ:……………

ঘ) নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটের (মুল সার্টিফিকেট না পেয়ে থাকলে মার্কসিট)সত্যায়িত কপি।

ঙ) জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজি,কার্ড/প্রবেশপত্রট্রিান্সক্রিপ্ট/মূল সনদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত কপি।

চ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক ১ (এক) কপি সত্যায়িত ছবি।

ছ) বিদ্যালয়/কলেজে ভর্তি রেজিস্টারের সত্যায়িত কপি, পিইসি সনদ, পিতা/মাতা/ভাই/বােনের সনদের সত্যায়িত কপি, মায়ের
নিকাহনামা/বিদেশে নাগরিকত্বের প্রামাণ্য কাগজ/ভিসা/ড্রাইভিং লাইসেন্স/জাতীয় পরিচয়পত্র/ জমির পর্চা/টিআইএন সার্টিফিকেট। সার্ভিস বহি/কাজে যােগদানের নিয়ােগপত্রের সত্যায়িত কপি।

জ) আবেদন জমাদানের সময় দাখিলকৃত কাগজপত্রের মূলকপি সাথে আনতে হবে।

ঝ) যোগাযােগের জন্য টেলিফোন/মােবাইল নম্বরঃ —————————–

ঢাকা শিক্ষাবোর্ড নাম সংশোধন আবেদন ফরম
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড নাম সংশোধন আবেদন ফরম

উপরোক্ত নিয়ম অনুসরণ করে আপনার জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সনদে নিজ নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ও জন্ম তারিখ সংশোধন করে নিতে পারেন।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের নাম ও বয়স সংশোধন অনলাইন আবেদন পূরণ করে খুব সহজেই আপনার সনদ সংশোধ করে নেওয়া যাবে।

যথাযথ নিয়মে আবেদন সাবমিট করার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ওয়েবসাইটে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড নোটিশ থেকে আবেদনের মঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি জানতে পারবেন।

অথবা অনলাইন আবেদন পোর্টালে লগইন করেও বিস্তারিত জানা যাবে।

আপনার জন্য আরও কিছু তথ্য:

ঢাকা বোর্ড বিভিন্ন সনদ ও মার্কশীটে নাম ও বয়স সংশোধন আবেদনের নিয়মাবলি সংক্রান্ত আর কোনো প্রশ্ন থাকলে সরাসরি আমাদের ফেসবুক পেইজে মেজেস করে জেনে নিতে পারেন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ